গতি
পথ
............রাজন
ভট্টাচার্য
অনেকটা পথ পাড়ি
দিতে হলো আমাকে
একটু পথের জন্য।
একটু পথের জন্য
পুরো পথেই ছিল
সীমাহীন
দুর্ভোগ আর লাঞ্ছনা।
কষ্ট আর
যন্ত্রনায়
আমি পুরোপুরি
কাতর।
অনেকটা আর না
পারার মতো,
তবু হাল ছাড়িনি।
পথের খোঁজে
পথে-পথে নানা পথ
আঁকা বাঁকা আবছা
গলি
নানা শব্দ, নানা উচ্চারণ!
ঝুঁকিতে বাঁকা
হয়ে যায় চলার গতি পথ।
ছোট্ট পথের
প্রয়োজন ছিল বেশ।
যে পথ পেলেই
আমার কষ্ট মিটে যাবে
সবার কষ্ট শেষে।
|
চেতনা
............রাজন
ভট্টাচার্য
রক্ত দিলে কি
এমন তি হতো তোমার?
সর্বোচ্চ হতে
পারতো শরীরের পুরো বক্তই হয়ত ঝড়ে যেত!
বাঁচা মড়ার
নিশ্চয়তা হয়তো থাকতো না ,
তবে মৃত্যুর মতো
কোন অঘটনের সম্ভাবনা ছিল না-
তবে কেন দ্বিধা
ছিল তোমার? রক্ত ঝড়াতে।
একটু রক্ত দিলেই
রহিমাদের হত্যার
বিচার পেতাম
একটু প্রতিবাদ
করলে
বিপ্লবকে
সন্ত্রাসীদের হাত থেকে বাঁচানো যেতো
মিছিলে গেলেই
গণতন্ত্রের জন্য
সংগ্রামী মানুষগুলো সান্তনা পেত
অনশনে গেলে
শিশুরা অধিকার
পেত,
মানববন্ধনে গেলে
আমরা অধিকারের
লড়াই শিখতাম
সমাবেশ করলে
আমরা দুর্দশা আর
যন্ত্রণার কথা তুলে ধরতে পারতাম
একটু সোচ্চার
হলে
অন্যায়কে না
বলতে শিখতাম
মাদককে অবহেলা
করতে শিখতাম
অধ্যাপক গোপাল
কৃষ্ণ মুহুরি হত্যার বিচার চাইতে পারতাম,
একটু খেয়াল
রাখলেই
সবাইকে ভালবাসতে
পারতাম
ভালো বাসলেই
সকল চক্রান্তের
বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে শিখতাম
কি এমন তি ছিলো
তোমার রক্ত দিতে?
|