শালিক পাখির জন্য
....সরোজ
মোস্তফা
বিরিয়ানির
প্যাকেট কিনতে না পারলেও
বিকেল বেলায় ওর গালে চুমো খেতে পারি।
ওর আঙুল গুলোতে
কার্তিক মাসের পলিমাটি।
সে আঙুল ছুঁয়ে দিলে নড়ে উঠে ধান গাছ।
ওকে তাই রঙ
পেনসিল কিনে দিয়ে বলি
তোকে আর ছবি আঁকতে হবে না। |
ভাই
....সরোজ
মোস্তফা
আক্রোশ দেখাতে
গিয়ে দেখি
সাদা শার্ট ক্ষোভে, রক্তে ভিজে গেছে।
মেহগনির রঙিন
তক্তা গুলো নিয়ে
নারিকেল গাছসহ উড়াল আদর নিয়ে দূরে চলে গেছে ভাই।
আমিও পেয়েছি জমি।
এ জমির ফুল কাকে দেব কাকেই বা দেখাব রক্ত। |
স্টেশন
....সরোজ
মোস্তফা
মিলন মেলা ছাড়াও স্টেশানে অনেকে কবিতা পড়তে আসে।
ভিড়ের মানুষ
ঘুরতে ঘুরতে গোল হয়ে
নিজের কবিতা লিখে।
জামার ভেতরে
লুকানো মানুষ
কবিতা লেখার পর খালি গায়ে ভাত রান্না করে।
হাত নাড়াবার আগে
দূরত্বে যাবার আগে কত কিছু বলতে চেয়েছ!
স্টেশানে কেউ না
কেউ তাই কবিতা বলতে আসে।
ছাপা হোক বা না হোক টিয়া পাখি তার ঠোঁট নাড়বেই। |
বন্দুক
....সরোজ
মোস্তফা
বিলের পাখিও দু’নলা বন্দুক চেনে। চেনে গায়ের পরিধি। চোখের আড়ালে কে কারা কতটা শ্রেষ্ট।
মাটি ও প্রেমকে
কর্ষণের ফাঁকে
কখন শিখেছো পিস্তল চালানো! সবুজ জমিকে শিমুল গাছকে আইলে বাঁধার পর গৌতম বুদ্ধের চোখ ফাঁকি দিয়ে এদেশের পাড়াগায়ে বন্দুক ঢুকেছে। ভাই তাক করেছে ভাইকে।
জ্যান্ত চোখে
ভাইকে ভাই ভাবা যায় না।
ভাইকে গুলি করার
পর
পৃথিবী চুষে নিয়েছে রক্ত।
শালিক পাখির
জন্য
চোখে সূর্য ঢুকে গেলে আমার কোন সকাল থাকে না থাকে জুতা কালি করার ব্যস্ততা।
টায়ারের কালো
নাগরিকতায় ঢুকে
সে রাস্তাতে আপ্রাণ দৌড়–চ্ছি। |
ধ্যানলিপি
....সরোজ
মোস্তফা
ডুপি পাখি দুপুর বেলায় ঘুমায় না। হরফ বানায়। সুমুদ্রের মতো ঘুমুতে পারে না হরফের কারিগর।
বন্ধুরা প্রতি
মূহুর্তে টোকা মারে। মাংসে খাবলা মারে।
বলে, ধ্যানগুলো সব ফাইলে রেখে দে। খেতেই পারিস না। তোদের আবার ধ্যানলিপি । |
|